বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
নাটোর (গুরুদাসপুর) থেকে মেহেদী হাসান তানিমঃ— সরিষা ফুলের সমারোহে নয়নাভিরাম এখন চলনবিল। নাটোরের গুরুদাসপুর সহ চলনবিলাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ আর সবুজ ধানের সমারোহ। যেন এক টুকরো মিনি বাংলাদেশ। গাড়ো সবুজের বুকে হলুদের ছিটা। চলনবিলের বিভিন্ন মাঠ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, চলনবিলের মাঠজুড়ে এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। যে দিকে তাকানো যায় চারদিকে শুধুই হলুদের সমারোহ। দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। প্রকৃতির এ মনোরম দৃশ্য দেখে যে কোন মানুষই মুগ্ধ না হয়ে পারেনা। হলুদ ফুলের সুসজ্জিত মাঠে ভ্রমর পাখা মেলেছে উড়ছে। ভ্রমরের গুঞ্জনে কৃষকের মন আন্দলিত। একদিকে সরিষার এই ফুল থেকে প্রতি বছর মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ মৌচাষীরা। অন্যদিকে ফলনও বেশী হয় পরাগায়ণের ফলে। তাই এবারও মৌচাষিরা আসতে ভুলেননি চলনবিলে। এখন তারা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শুধু তাই নয় সরিষা ফুলের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে ভ্রমন পিপাসু মানুষ গুলো। প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকের ভীড়। বর্ষায় পানিতে ডুবে টইটুম্বুর থাকে এই চলনবিল, আর শুকনো মৌসুমে মাঠজুড়ে ফুটে থাকে সরিষা ফুল আর বোরো ধানের সবুজের সমারোহ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ । মাঝ খানে গাড়ো সবুজের বুকে হলুদের ছিটা। এই সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দেখার জন্য দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসে ছোট বড় নানা বয়সের ভ্রমন পিঁপাসুরা। কাজের ফাকে ক্লান্তি দুর করতেই এশিয়ার এই সর্ব বৃহৎ বিলে ছুটে আসেন তারা। চলনবিলের সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা তানিশা তানহা, মৌমিতা, রাহাতারা, আবতা হোসেন ও টুম্পা জানায়, বর্ষা মৌসুমে একবার এসেছিলাম পানির সৌন্দর্য্য দেখতে। শুকনো মৌসুমে সরিষা ফুলের হলুদে মেতে থাকা সৌন্দর্য্যরে কথা শুনেই আবার চলে আসলাম। তবে অনেক ভাল লেগেছে। সময় পেলে পুরো চলনবিলটাই ঘুড়ে দেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্ত মন না চাইলেও সময়ের টানে ফিরে যেতে হচ্ছে।
গুরুদাসপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন বলেন, চলনবিল বছর জুরেই তার চিরোচেনা নানা রুপ আর সৌর্ন্দয্য দিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ভাবে বিভিন্ন রুপে পর্যটকদের কাছে টানে। চলনবিলের এই নয়নাভিরাম দৃশ্য না দেখলে চলনবিলের অপার সৌন্দয্যটাই যেন অধরা থেকে যায়।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলশা গ্রামের স্থানীয় সংসদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চলনবিলে রাস্তা, ঘাট, ব্রিজসহ সব কিছুতেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছি। জীবনের শেষ ইচ্ছা চলনবিলে একটা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। যেন দুরদুরান্ত থেকে ভ্রমন পিঁপাসু পর্যটকরা আরাম আয়েশ ও বিশ্রাম করে ভাল ভাবে চলনবিলের অবারিত সৌন্দর্য্যকে খুব কাছ থেকে দুচোখ ভরে উপভোগ করতে পারে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply